ট্রাম্পের শপথ: চীনের শি আমন্ত্রিত, মোদি নেই
- By Jamini Roy --
- 18 January, 2025
আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান খোলা স্থানে হলেও এবার ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ক্যাপিটল হিলের কংগ্রেস ভবনের একটি অংশে এই আয়োজন করা হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শপথ অনুষ্ঠানের সময় ওয়াশিংটনের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে থাকবে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবারের মতো সোমবারেও কনকনে ঠান্ডা অবস্থা বিরাজ করবে। ফলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এবারের শপথ অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষের সমাগম হবে না। এর আগে ১৯৮৫ সালে তীব্র ঠান্ডার কারণে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের শপথ অনুষ্ঠানও ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে আয়োজন করা হয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আমন্ত্রণ পেলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম তালিকায় নেই। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণের সম্ভাবনা নেই। তবে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে। শুক্রবার ট্রাম্প ও জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়, যেখানে দুই নেতা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
অন্যদিকে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান আমন্ত্রণ পেলেও তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেই এবং প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা, যেমন ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এই অভিষেক শুধু একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান নয়, বরং চার বছর পর ট্রাম্পের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার বিশেষ উপলক্ষ। ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার প্রশাসনের নতুন অধ্যায় শুরু হবে। তবে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা থেকে শুরু করে আবহাওয়া-সংক্রান্ত জটিলতা পর্যন্ত নানা দিক নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তার বৈদেশিক নীতি এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। এই শপথ অনুষ্ঠান তাই শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।